লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শামিম হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত রশিদুল ইসলাম (৩২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছেন সিআইডি ও থানা পুলিশ।
আজ সোমবার ভোরে হাতীবান্ধা উপজেলার দোলাপাড়া গ্রামে যৌথ অভিযোন চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রশিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রশিদুল ইসলাম উপজেলার বড়খাতা দোলাপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। সে বড়খাতা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
এ ঘটনায় শামিম হোসেনের বোন মোছা. আশিকা আফরোজ বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি তোয়াব আলী (৩৮) গ্রেফতা করতে সক্ষম হন। এ মামলার বাকি আসামিরা পলাতক থাকায় পরর্বতীতে মামলাটি লালমনিরহাট সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানায়, গত ২৯ নভেম্বর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়াবাউরা গ্রামের আব্দুর রহমান আমুর ৩৪ শতাংশ জমি একই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের তোয়াব আলী নিজের দাবি করে দখল নেয়ার চেষ্টা করলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় আমিনুর রহমান আমুর ছেলে শামিম হোসেন সংঘর্ষ থামাতে আসলে তোয়াব আলীর ভাড়াটে লোকজন শামিমের ওপর চড়াও হয়ে বেধরক মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গত বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় লালমনিরহাট সিআইডি পুলিশ রশিদুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করে লালমনিহাট নিয়ে যান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত