অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। এতে লোকসানের কবলে পড়তে পারেন নীলফামারীর কৃষকেরা।
চারিদিকে সবুজের সমারোহ, কোথাও চলছে রোপণ বা সেচ। নীলফামারী জেলায় এবারে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৭০৯ মেট্রিক টন।
তবে চলতি মৌসুমে তেমন বৃষ্টি না হওয়ার বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষকেরা। আষাঢ় মাস বর্ষাকাল হলেও নেই বৃষ্টি। এখন শ্রাবণ মাসও শেষের দিকে। কৃষকেরা শুরুতে সেচ দিয়ে আমন রোপণ করলেও এখনও শেষ করতে পারেননি। মাঝেমধ্যে সামান্য বৃষ্টি হলেও কৃষকের কোন কাজে আসছে না। জেলার ৬টি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
নীলফামারী সদর উপজেলার দক্ষিণ চওড়া গ্রামের কৃষক হরিকান্ত রায় বলেন, আমন আবাদ বর্ষার পানির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে পানি না হওয়ায় সেচ দিতে হচ্ছে। এতে একবিঘা জমিতে খরচ বেড়েছে দ্বিগুন। ক্ষেতে নিড়ানীর খরচও বেড়েছে। বর্ষায় পানি না হওয়ায় তিন চাষের জমিতে পাঁচ চাষ দিতে হচ্ছে। বর্তমানে এখন যেটুকু পানি হচ্ছে তা উঁচু জমির উপকারে আসছে।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, জেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির