শিরোনাম
- মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
- আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
- প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
- বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
- খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
- শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
- নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
- ‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
- প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
- ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
- গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
- ‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
উন্নয়নের প্রয়োজনে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগ অর্ধ শতাব্দীর বেশি পুরনো। ইতোমধ্যে ১৫টি গাছ কাটা হয়েছে। তবে, বন বিভাগ এ বিষয়ে কিছুই জানে না। রুয়েট কর্তৃপক্ষের দাবি, নতুন প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ভবন নির্মাণের জায়গা তৈরি করতে এসব গাছ বিক্রি করা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহমেদ নিয়ামুর রহমান বলেন, সরকারি গাছ কাটার জন্য কর্তৃপক্ষের বাধ্যতামূলকভাবে অনুমোদন নেওয়া উচিত এবং বন বিভাগের উচিত গাছের দাম মূল্যায়ন করা। তিনি দাবি করেন, রুয়েট কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগকেও অবহিত করেনি।
রুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সেলিম হোসেন বলেন, আশির দশক থেকে ক্যাম্পাসে কোনো উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়নি। সম্প্রতি সরকার ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। যার আওতায় আছে ১০টি ১০ তলা ভবন নির্মাণ, এজন্য মোট ৫০টি গাছ কাটা হবে। ইতোমধ্যে এই কর্মসূচির আওতায় ১৫টি গাছ কাটা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার আরও বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস এবং রুয়েটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তদারকি করছে। যোগাযোগ করা হলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অমিত রায় চৌধুরী এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক পরিচালক জগলুল সাদাত জানান, তারা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো উত্তর দিতে পারবেন না।
ক্যাম্পাসের সিনিয়র সহকারী নিরাপত্তা পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, যথাযথ ক্রয় বিধি মেনে রুয়েটের কর্মচারী গোলাম মোস্তফার কাছে ১৫টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে। গাছের ক্রেতা গোলাম মোস্তফা জানান, তিনি গাছ কাটার জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু রুয়েট কর্তৃপক্ষ বন বিভাগকে গাছ কাটার বিষয়ে অবহিত করেছিল কিনা তা তিনি জানেন না।
রুয়েটে গিয়ে দেখা যায়, ইতিমধ্যে ১৫টি কৃষ্ণচূড়া ও মিনজিরি গাছ কাটা হয়েছে। শ্রমিকরা একের পর এক গাছ কাটছে এবং কাঠের গুঁড়ি রিকশা-ভ্যানে করে ক্যাম্পাস থেকে বের করা হচ্ছে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এভাবে পুরনো গাছ কাটা ফেললে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। যেসব গাছ কাটা হয়েছে এবং কাটার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে আম, লিচু, মেহগনি, কড়ই, মিনজিরি এবং কৃষ্ণচূড়া।
পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব টুংকু বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি রাজশাহীতে বিভিন্ন সরকারি দফতর উন্নয়নের নামে নির্বিচারে গাছ কাটার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আমরা নিশ্চিত নই এই উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রয়োজন আছে কিনা। তবে আমরা নিশ্চিত পুরনো গাছগুলো খুবই প্রয়োজন, যেগুলো কাটা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত গাছগুলো বাঁচিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন
এই বিভাগের আরও খবর