প্রতি ইঞ্চি কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে তৈরী হওয়া পারিবারিক সবজি ও পুষ্টি বাগান ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাড়ির আঙিনা ও আশপাশের পতিত জমিতে সবজি চাষাবাদ করে যেমন পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে তেমনি চাষীরা আর্থিক লাভবানও হয়েছে।
কৃষি বিভাগের সহায়তায় তৈরী হওয়া এসব পারিবারিক পুষ্টি বাগান দেখে খানসামা উপজেলায় অনেকেই এখন ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন সবজি-পুষ্টি বাগান। এতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
খানসামা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, খানসামা উপজেলার তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে গত বছর ১০ জন কৃষককে নিজের বাড়ির আশাপাশে সবজি-পুষ্টি বাগান স্থাপনের লক্ষ্যে পুঁইশাক, কলমিশাক. ডাঁটা, বেগুন, মুলা, বরবটি, ঝিংগা, পালংশাক, লাউ, শিম, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ ১৭টি সবজির উন্নতমানের বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। চাষাবাদের জন্য জৈব ও রাসায়নিক সার এবং বেড়া বাবদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সবজি চাষ সম্ভব এমন রৌদ্র্যোজ্জ্বল স্থান নির্বাচন করে বাগানের আশাপাশে বেড়া দিয়ে কৃষক তৈরি করেছেন আকর্ষণীয় সবজি-পুষ্টি বাগান। এসব বাগানে প্রয়োজনীয় ও পরিমাণ মতো সার ব্যবহার করছেন কৃষকরা। প্রতিটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ প্রদান ও সবজি বাগান পরিদর্শন করেন।
খানসামা উপজেলার কাচিনীয়া গ্রামের কৃষক অনিল চন্দ্র রায় বলেন, নিজের পতিত জায়গায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিভিন্ন প্রকার সবজির চাষ করেছি। এতে জমির যেমন সঠিক ব্যবহার হয়, তেমনি পরিবারের পুষ্টি চাহিদাও পূরণ হচ্ছে আবার অতিরিক্ত বিক্রি করে লাভবানও হওয়া যায়।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, বাড়ির আঙিনাসহ পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এসব জমিতে বীজ রোপণ করে কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমি সবুজে সমারোহ। এই সবজি কৃষকদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এতে তারা আর্থিক ভাবেও লাভবান।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন