ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে হরিরামপুর ইউনিয়নের ছবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার পর থেকে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এতে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে অন্তত ৯০ শতাংশ ফসলি জমি। নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছে নদীপারের পরিবারগুলো। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ছবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরেজমিন মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে দেখা যায়, ফসলি জমির বৃহৎ অংশজুড়ে ভাটল দেখা দিয়েছে। ছবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে রয়েছে ভাঙন এলাকা। এছাড়া নদীপাড় হতে বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন স্থানীয়রা।
ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে শেখ লিটন (৪২), মানিক দেওয়ান (৫৪), শেখ কালাম (৫২) ও শেখ নজরুলের বসত ভিটা। এছাড়া নিরাপদ আশ্রয়ে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন শামসেল বেপারী (৬৭), শেখ সালাম (৬৩) ও মাইনুদ্দীন মৃধা (৫৮)।
শামসেল জানান, তিনি ঘরে শুয়ে ছিলেন। গভীর রাতে ভাঙনের শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। ভোর রাত থেকে লোকজন নিয়ে তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে আপাতত স্কুলের মাঠে উঠেছেন। কিন্তু এখন আর যাওয়ার স্থান রইলো না।
ভাঙনের খবর পেয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাউছার, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন কুমার সাহা ও আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্যা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন কুমার সাহা জানান, বিদ্যালয়ের বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কাউছার জানান, তিনি ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রাশাসনকে এ বিষয়ে অবগত করেছেন। তারা এলাকাবাসীর বসতবাড়ি ও বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই