শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষদিন ছিল পাহাড়ের গুর্খা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কপাল টিকা (চন্দন টিকা) উৎসব। শুক্রবার সকালে শহরের কন্টাকটার পাড়ায় ও গর্জনতলীতে এ উৎসব পালন করা হয়। কপাল টিকা মানে দেবী দুর্গার পা ছুয়ে চন্দন টিকা একে অপরকে লাগানো। প্রতিবছর এ চন্দন টিকা উৎসব শুধুমাত্র গুর্খা সম্প্রদায় নয়, এ উৎসব পালন করেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ও। তখন ত্রিপুরা ও গুর্খা সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ পাড়ায় পাড়য়া নেচে গেয়ে একে আপরের কপাল ছুয়ে টিকা উৎসব পালন করে থাকে। এসময় হিন্দুরা সিঁদুর দান উৎসবে মেতে উঠে। উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে পাহাড়।
রাঙামাটি সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয় ভবনে মনোজ বাহাদুর গুর্খা ও সহধর্মিনী লক্সমি মানজি গুর্খার আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে উৎসবের সূচনা করা হয়। এতে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপেন কুমার ঘোষ, কাউখালী সরকারী কলেজের অধ্যাপক রিপন ঘোষ, সংগীত শিল্পী হিমাদ্রী গুর্খা মিতুল উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি সুর নিকেতন সঙ্গীত শিক্ষালয় ভবনে সুর নিকেতন প্রতিষ্ঠাতা মনোজ বাহাদুর বলেন, আদিকাল থেকে পার্বত্যাঞ্চলে গুর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ শারদীয় দূর্গা উৎসেব দশমীর দিনে এ টিকা উৎসব পালন করে থাকে। এ উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সৌহাদ্য বৃদ্ধি পায়। এ উৎসবরে পার্বত্যাঞ্চলের সব সম্প্রদায়ের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে এক সম্প্রীতির মিলবন্ধন তৈরি হয়। দিনব্যাপী চলে নাচ-গানের উৎসব। বিকালে দুর্গা বির্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয় এ উৎসব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল