গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় অচেনা এক প্রাণী গত দেড় মাস ধরে আক্রমণ চালানোর পর এবার গোবিন্দগঞ্জেও হানা দিয়েছে। সোমবার পলাশবাড়ি উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩০) এবং রবিবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামের মৃত ছাত্তার মিয়ার স্ত্রী মোফেলা বেওয়া (৫৫) নতুন করে প্রাণীটির হামলার শিকার হয়েছেন। এর আগে আরও ১১ জন হামলার শিকার হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক ডা. তানভীর রহমান জানান, পলাশবাড়ির হাসনা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার কোমরের ক্ষতটি কোন প্রাণীর আক্রমণেই হয়েছে। তাকে এন্টি রেবিস ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ভালো আছেন। অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জে আক্রান্ত মোফেলা বেওয়া স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের মতে, গত দেড়মাস থেকে পলাশবাড়ির ছয়টি গ্রামে অচেনা প্রাণীটি মানুষ ও কুকুরকে আক্রমণ করেছে। এপর্যন্ত প্রাণীটির হামলায় একজনের মৃত্যু ও ১৩ জন আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। তবে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিছুর রহমান বলেন প্রাণীটির আক্রমণে ফেরদৌস ইসলাম নামে যে ব্যক্তির মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে আসলে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে প্রাণীটি তার উপর হামলা করেছিল।
আহতরা জানান, প্রাণীটি দেখতে শিয়ালের মতো। এর মাথা ও লেজ বড় আকারের। ঝোপ-জঙ্গল, ধানের জমি থেকে বেরিয়ে এসে এটি আক্রমণ চালায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন