বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে সন্নাসী বাজারে মিছিল করেছেন ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য বিটুল বিশ্বাসকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার এই ইউনিয়নে সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পরেও প্রতিপক্ষের ওপর মারধর, হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত দুদিনে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের কর্মীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বুধবার দুুপুরে খাউলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বরিশাল গ্রামের বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী বিটুল বিশ্বাস ও তার কর্মীরা পরাজিত প্রার্থী চানমিয়া হাওলদারের কর্মী দিনমজুর রহিম কাজী, আসাদ কাজী, কবির কাজী, সালমান কাজী ও আমীর আলী তালুকদারকে মারধর করে। এদের মধ্যে গুরুতর জখম রহিম কাজীকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই দিনে আমতলী গ্রামের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী নাজির গাজীর কর্মীরা প্রতিপক্ষের আব্দুর রহমান মাঝিকে হাতুড়ি পেটা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এদিন রাত ৮টার দিকে পশুরবুনিয়া গ্রামের বিজয়ী প্রার্থী মশিউর রহমানের কর্মীরা প্রতিপক্ষের কর্মী জালাল শেখকে (৬৫) পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠায়।
পশ্চিম খাউলিয়া গ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সন্দেহে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ শেখকে। এছাড়া পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই খানের অনেক কর্মী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে হাই খান দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মণ্ডল বলেন, খাউলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পেয়েছি। একটি ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি বিজয়ী প্রার্থী বিটুল বিশ্বাসকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই