শরীয়তপুর সদরের রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ঢালী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সুবচনী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নৌকার প্রার্থী রাতে প্রচারণা শেষে সুবচনী বাজারে তার নির্বাচনী অফিসে যান। যাওয়ার পরপরই বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের হাবিবুর রহমান ঢালীর লোকজন নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়নে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ঢালী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করা হয়েছে। এলাকায় থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। আহতদের ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতার ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ঢালীর ছোট ভাই রুহুল ঢালী বলেন, আমরা প্রচারণা শেষ করে নির্বাচনী অফিসে এসে বসি। সেখানে আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছিলাম। হঠাৎ বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালীসহ কয়েকশ' লোক আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। আমার ভাইয়ের চোখে গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে সতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘটনার জন্য নৌকা প্রার্থীকেই দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, আমি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম করে আসছি। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাইনাই। তারা আমার ক্লাব ভাঙচুর করে, আমার নেতাকর্মীদের মারধর করে। আমার ব্যানার পোস্টার টানাতে দেয় না। পোস্টার ব্যানার লাগালেই তারা তা ছিঁড়ে ফেলে।
পালং থানার পুলিশ পরিদর্শক আকতার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাতের সংঘর্ষে ১০৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার পরপরই আমরা পরবর্তী ব্যবস্তা গ্রহণ করবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল