দর্জির কাজ শিখতে যাওয়া নবম শ্রেণি পড়ুয়া ভাতিজিকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ফাঁদে ফেলে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত চাচা সোহেল (১৭) ও তার খালাতো বোন মারুফাকে (১৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ আগস্ট বিকেল ৩টার সময় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী দর্জির কাজ শিখতে যায় চাচার ঘরে। এ সময় ঘরে ছিল অভিযুক্ত চাচা তার খালাত ভাই শামীমের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে এবং কৌশলে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে আরও একাধিক বার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট অভিযুক্ত সোহেল তার খালাত বোন মারুফাকে ভুক্তভোগীর ঘরে পাঠিয়ে কৌশলে তার ব্যক্তিগত ছবি মোবাইলে ধারণ করে নতুন ট্রাপ করে। কিন্তু ভুক্তভোগী অভিযুক্ত চাচার কথায় সাই না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তার ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে সোহেলকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য খালাত বোন ফারুফা ও খালাতো ভাই শামিমকে আসামি করে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পর অভিযুক্ত সোহেল এবং তার খালাত বোন মারুফাকে ওই রাতেই আমতলী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাসরিন সুলতানা গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার পরপরই অভিযুক্ত সোহেল এবং খালাতো বোন মারুফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামি শামিম পলাতক রয়েছে। তাকেও দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে, ভুক্তভোগীর মা গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে আমার দেবর। সে আমার মেয়ের চাচা হয়েও সর্বনাশ করেছে। জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে- তা ছড়িয়ে দেওয়া ভয় দেখিয়ে আরও একাধিক বার ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার কঠিন শাস্তি চাই।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক