দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ইব্রাহিম বাবুল মোল্লা (চশমা প্রতীক) ও হোসেন হাওলাদার (আনারস প্রতীক) প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় নির্বাচনী এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রচারণার শেষ দিন মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজু মিয়ার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় রব বাজার এলাকায় চশমা প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, প্রচারণার শেষ দিন চশমা প্রতীক ও আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে সভা চলছিল। এসময় নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। পরে ফজু মিয়ার হাটে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল মোল্লা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে উভয় পক্ষের (নৌকা ও চশমা প্রতীক) সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ৫টির বেশি ককটেল বিষ্ফোরণ ও ত্রিমুখি (নৌকা, চশমা, আনারস) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের ৫জন আহত হন। পরে দু’পক্ষের বিক্ষোভে পুরোবাজারজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কমলনগর থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চর কাদিরা ও চর লরেন্স এবং রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউপি নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এর মধ্যে চর লরেন্স ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন মাষ্টার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, চারটি ইউনিয়নে সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৭১ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদে ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল