নরসিংদীর রায়পুরায় আবারও সংঘর্ষ হয়েছে। আসন্ন মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রায়পুরায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সময় পিরিজকান্দি বাজারের ৫টি দোকানসহ এলাকার অন্তত ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে ৫ জন আহত হয়।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে রায়পুরা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আনুষ্ঠিত হবে। আজ প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচারণায় নেমে পড়ে প্রার্থী সমর্থকরা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ মঞ্জুর এলাহী ও তার সমর্থকরা মিছিল বের করে। মিছিলটি পিরিজকান্দি বাজারে পৌছালে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুল্লাহ ভূইয়ার এক সমর্থকের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এসময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে ৫টি দোকান ২০ টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ সয়ম ডোকরেশনের দোকানে থাকা ইঞ্জিনে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগর হোসেন। এলাকায় পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ব্যাপারে মোঃ আসাদুল্লাহ ভূইয়ার সমর্থক মোঃ বাবুল মিয়া জানান, পরিকল্পিত ভাবে মঞ্জুর এলাহী মিছিলসহ এসে তার দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে। এই সময় তার ৫টি দোকান ভাংচুরসহ ডোকরেশনের দোকানে থাকা ইঞ্জিনে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ছাড়াও বাজারের আরও কয়েকটি দোকানসহ আশপাশ এলাকার অন্তত ২০টি ঘর মঞ্জুর এলাহীর সমর্থকরা ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে অপর পক্ষের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মঞ্জুর এলাহী বলেন, প্রথমে আসাদুল্লাহ ভূইয়ার সমর্থকরা তার মিছিলের উপর হামলা করে। এ সময় তার তিনজন সমর্থক গুরুতর আহত হন। তারা কোন ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাননি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন