সেবার মান ভাল হলেও চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের কারণে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। অন্যদিকে রোগীর চাপ সামলে সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। ঘোড়াঘাট উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের সেবার একমাত্র প্রতিষ্ঠান এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
এ হাসপাতালে নেই আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন আবার উন্নত অপারেশন থিয়েটার থাকলেও একজনও অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক না থাকার কারণে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ। ফলে অনেক পরীক্ষা করাতে রোগীদের দালালের খপ্পরে পড়তে হয়।
সেবা নিতে আসমা বেগম জানান, এখানকার চিকিৎসাসেবা ভালো। ওষুধ পেলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাইরে যেতে হয়। এতে বাইরে পরীক্ষা করানোতে খরচ বেশী। হাসপাতালে পরীক্ষা করানো গেলে গরীব মানুষের অনেক উপকার হতো।
শফিকুলসহ অনেক রোগীই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রæত সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১৩ চিকিৎসক থাকার স্থলে রয়েছে একজন ডেন্টাল মেডিকেল অফিসার ও একজন কনসালটেন্টসহ ৮ জন। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসক ছুটিতে রয়েছেন এবং একজন চিকিৎসককে করোনা সেবার জন্যে সিভিল সার্জন অফিসে আনা হয়েছে। আর সাধারন রোগীদের সেবায় রয়েছে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক। নার্স, পিয়নসহ অন্যান্য জনবলেরও রয়েছে সংকট।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. পার্থ জ্বীময় সরকার জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন আউট ডোরে ৩শ থেকে ৪শ রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। অল্পসংখ্যক চিকিৎসক থাকায় তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। সর্বোচ্চটা দিয়ে তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত চিকিৎসক পাবো। এখানে চিকিৎসার মান ভালো। যে কারণে প্রতিদিন অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা যন্ত্র নেই, সেগুলোর চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ