তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে একটি বিশেষ দল ও প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্য ভোট প্রদানের অভিযোগ ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ী ভাঙচুর করা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে একাধিক কেন্দ্রে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক ভোটারদের উপস্থিতি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে তা অনেক কমে গেছে। এসব কেন্দ্রের বাইরে কিছুক্ষণ পর পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে আইন শৃংক্ষলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় কোন ভোট কেন্দ্র দখল কিংবা অনিয়মে ভোট বন্ধ করার খবর পাওয়া যায়নি। অন্তত ২০ জনকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, দুপুর ১২টার পর স্থানীয় ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাট্টা ইউনিয়নের নান্দিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে নৌকার সমর্থকরা। এসময় ককটেল বিস্ফোরণে ভোটার শুন্য হয়ে পড়ে কেন্দ্রগুলো। কেন্দ্রে ভেতরে গিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যালট পেপারে সীল মারাযুক্ত ব্যালট পাওয়া যায়। কেন্দ্রের এজন্টরা বলেন, হঠাৎ বহিরাগতরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেন্দ্র ঢুকে ব্যালট পেপারে সীল মারা শুরু করে। পরে পুলিশের ধাওয়ায় তারা সরে যায়। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে পুলিশ মাইকিং করে যথারীতি ভোট চালু করে। এদিকে ভাদুর ইউনিয়নের সমেসপুর সকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে জাহিদ হোসেনের গাড়ী ভাঙ্চুর করে নৌকার সমর্থকরা।
এ সময় তিনি বলেন, প্রশাসন সূষ্ঠূ ভোট অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করতে পারেনি। একই অভিযোগ করেন ইছাপুরের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি বলেন, বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ২০-২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। কোন কেন্দ্র থেকে ভ্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া জেলার সব ইউপি ও সদর পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ