বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। রংপুর জেলা প্রসাশনের আয়োজনে সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নের কালাপাড়া এলাকায় মাঠে গিয়ে পাঁকা ধান কাঁটা, নানান রকম পিঠা-পুলির আয়োজন, নবান্নের নাচ-গান দিয়ে উৎসব উদযাপন করা হয়।
নবান্ন উৎসবের শুরুতে মাথায় গামছা বেঁধে হাতে কাঁচি নিয়ে কৃষকদের সাথে মাঠে ধান কাটেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসানসহ অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।
এরপর শুরু হয় গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠি খেলা এবং ঘোড়-দৌড় প্রতিযোগিতা। এর ফাঁকে ফাঁকে চলে পিঠা-পুলি খাওয়া। সেই সঙ্গে ছিল গরুর গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো, ঢেঁকিতে ধান ভাঙা। পরে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।
এসময় জেলা প্রশাসকপত্নী নাজিরা বানু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহানাজ পারভিন, রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর নাহার বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মফিজার রহমান রাজু, সদর কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমানসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আমন ধানের কাটা-মাড়াই প্রায় শেষ। কৃষক-কৃষাণী বসে নেই কেউ। অগ্রহায়ণ মাসজুড়ে পিঠা-পায়েসসহ নবান্নের আয়োজনে কেউ বা ধান কাটছেন, কেউ বা করছেন মাড়াই। গৃহবধূরা ঢেঁকি কিংবা উরুন-গাইনে ধান থেকে চাল তৈরি করছেন। দিনরাত চলছে রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ। পা-চালিত ধান মাড়াই যন্ত্রের ঘরঘর শব্দে গ্রামের পরিবেশটাই যেন পাল্টে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম