কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় সালিশ বৈঠকে পরিমল চন্দ্র (৪০) নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্য মারা গেছেন।
শনিবার উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পরিমল উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের অনু চন্দ্র দাসের ছেলে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম পুলিশ পরিমল চন্দ্র দাসের ভাই গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাস ও আরেকজন গ্রাম পুলিশ হোমাস চন্দ্র দাসের ভাই সুভাষ চন্দ্র দাসের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ মীমাংসার জন্য চন্দনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সুভাষ। এর ভিত্তিতে শনিবার সালিশ ডাকা হয়। সালিশের এক পর্যায়ে পরিমল ও হোমাস উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাদের ধমক দিয়ে বসতে বলেন। তখন দাঁড়িয়ে থাকা পরিমল হঠাৎ পড়ে যান। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বলেন, সালিশ মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে ইউনিয়ন অফিসে ডেকে আনি। এক পর্যায়ে তারা দুইজনই উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে আমি দুই পক্ষকেই ধমক দেই। এরমধ্যে পরিমল হঠাৎ করে পড়ে যায়।
মৃত পরিমলের ভাগিনা অজিত দাশ বলেন, আমার মামা সহজ সরল মানুষ। উনি চেয়ারম্যানের ধমক সহ্য করতে পারেননি।
এ বিষয়ে মেঘনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অফিসার জাকির হোসেন জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন