ভোলার চরফ্যাশনের আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে এক গৃহস্থের হাঁস চুরি করে ভূরিভোজের অভিযোগ উঠেছে ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নীরব হাওলাদার ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে প্রতিবেশি বেল্লাল মুনসির সাতটি হাঁস চুরি হয়ে যায়।
রাতে গৃহস্থ বেলাল মুনশি একই গ্রামের প্রতিবেশী টকবিবাড়িতে হাঁস পাটির আয়োজন দেখে স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে খবর দেন।
গ্রাম পুলিশ জামাল বকশী জানান, হাঁসের মালিক বেল্লাল মুনশি খবর দিলে তিনি ওই বাড়িতে যান। ঘরে ঢোকার আগে আড়াল থেকে ইউপি সদস্য নীরব হাওলাদারসহ সবাই হাঁস চুরির গল্প করতে শোনেন। এতে তিনি ঘটনা সত্যতা পেয়ে টকবিবাড়ির রুহুল আমিনের ঘরে গিয়ে হাঁসের মাংস খাওয়ার চিত্র দেখে তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে শুরু করলে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন খাওয়া রেখে পালিয়ে যান।
এসময় তিনি কালু ফকিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কালু ফকির হাঁস চুরির সত্যতা স্বীকার করেন। পরে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাসেমের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নীরব হাওলাদার জানান, হাঁসগুলো চোরাই কিনা তা আমার জানা ছিল না। তারা আমাকে দাওয়াত করলে আমি খেতে যাই। পরে জানতে পারি চুরির ঘটনা।
ইউপি চেয়ারম্যান আল এমরান জানান, গ্রাম পুলিশ জামাল বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি এলাকায় না থাকার কারণে ঘটনার বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত