শ্রমিক খরচ কম ও অল্প সময়ে জমিতে ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’ দিয়ে ধানের চারা রোপণে খরচ ও সময় উভয়ই বেঁচে যাওয়ায় খানসামায় কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। শ্রমিক দিয়ে কাজ করলে সময় ও খরচ দুটোই বেশি লাগে এবং এ যন্ত্রের মাধ্যমে করতে পারলে দুটোই কম লাগে। এতে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবে।
এই যন্ত্র দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ০.৩৫ হেক্টর জমির ধান রোপণ করা যায়। জ্বালানি খরচ ঘণ্টায় ৭০০ গ্রাম। প্রতি হেক্টর জমিতে ২০ জন শ্রমিক সাশ্রয় হয়। এ যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপণ করলে কৃষকের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। চারা রোপণে যন্ত্রটি ব্যবহার করলে রোপণ খরচ ৫০-৭৫ ভাগ কমানো সম্ভব। এটা দিয়ে চারা রোপণ করলে লাইন সোজা হয়। ফলে পরবর্তীতে আগাছা নিড়ানো, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ও ধান কর্তন করা সহজ হয়।
বৃহস্পতিবার প্রথবারের মত খানসামা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আ. সালামের জমিতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বোরো মৌসুমে হাইব্রিড জাতের চাষাবাদ কার্যক্রমের আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ব্রিধান-৭৯ জাতের ধানের চারা রোপণ উদ্বোধন করা হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায়।
দিনাজপুরের খানসামায় কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি, খামার যান্ত্রিকীকরণ ও খরচ কমিয়ে কৃষককে উৎসাহিত করতে ৬০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো হাইব্রীড ধানের চারা রোপণ করে দিয়েছে কৃষি বিভাগ। এ চারা রোপণের জন্য বিনামূল্যে বীজ-যন্ত্র সরবারাহ করেছে কৃষি বিভাগ।
চারা রোপনের সময় খানসামার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহানা আফরোজ ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিডি প্রতিদিন/এএ