করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রথমবার বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের দুবলার চরে অস্থায়ী শুঁটকি পল্লীতে অবস্থান করা ১৪ হাজার জেলেদের কোভিট-১৯ ভ্যাকসিনের দেয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুবলার চরের আলোরকোলে এই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই করোনার টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ।
বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দূর্গম সাগর পাড়ের দুবলার চরের আলোরকোল, মাঝিরকিল্লা ও নারিকেল বাড়িয়ায়াসহ দুবলার চরে অস্থায়ী শুঁটকি পল্লীতে অবস্থান করা ১৪ হাজার জেলেদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমে অংশ নেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার ডা. সৌরোসহ পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্তাবাধানে ১২ জন অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য সহকারী জেলেদের এই ভ্যাকসিন প্রদান করছেন। এছাড়া রেডক্রিসেন্টের আটজন স্বেচ্ছাসেবী এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন থাকা ১৪ হাজার জেলেদের দেওয়া হবে ‘জনসন এন্ড জনসন’ ভ্যাকসিন। যা একবারই দেয়া হবে। এর কোন দ্বিতীয় ডোজ লাগবেনা এবং একই সাথে এসব জেলেদের টিকা কার্ড প্রদান করা হবে। আজকের মধ্যেই এই টিকা কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গভীর সমুদ্রে সুন্দরবনের দুবলার চরে অস্থায়ী শুঁটকি পল্লীর জন্য মাছ আহরণে আসা এসব জেলেদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন জেলার রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল, ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসিম সমাদ্দারসহ আরও দুজন মেডিকেল অফিসার।
জেলেদের টিকা কার্যক্রমের দেখভাল করছেন বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দবন বিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় ও দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উাদ্দন আহম্মেদ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন