বরিশালের গৌরনদীতে এক নবজাতককে (৪৩ দিন বয়স) গলা টিপে হত্যা করে নানা বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দ দিয়েছেন অভিযুক্ত মা হিমা আক্তার (২৫)।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘাতক মা হিমা আক্তার হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে শিশু কন্যা খাদিজা ইসলাম রুকাইয়াকে গলা টিপে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দেয়ার লোমহর্ষক বণর্না আদালতে দেন তিনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এসআই হারুন অর রশিদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিশু কন্যা হত্যায় জড়িত সন্দেহে গত সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা গ্রামে বাবা মৃত হালিম আকনের বাড়ি থেকে হিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বপ্নাদেশ পেয়ে তার শিশু কন্যা খাদিজাকে গলা টিপে হত্যা করে বাপের বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। আদালতে একই স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হিমা আক্তার সন্তান প্রসাবের পূর্ব থেকেই একই উপজেলার বাদুরতলা গ্রামে বাবার বাড়ি অবস্থান করে আসছিল। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার দিকে খাদিজাকে গোসল করিয়ে নানী জোহরা খানমের খাটে শুইয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর নানী জোহরা ঘরে গিয়ে নাতনী খাদিজাকে না দেখে বিষয়টি স্বজনদের জাানয়। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে নানা বাড়ির পুকুর থেকে খাদিজার মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন সন্ধ্যায় থানা পুলিশ খাদিজার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পরদিন ১৭ ফেব্রæয়ারি গৌরনদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিন দুপুরে বরিশাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে খাদিজার লাশ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম