টেকনাফে বুধবার বিকাল ৩টায় টেকনাফ পৌরসভার আলো শপিং কমিউনিটি সেন্টারে টেকনাফ উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আবদুল্লাহর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সুলতান আহমদ উক্ত সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, গত ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে টেকনাফ উপজেলা বিএনপির ব্যানারে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে কক্সবাজার জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে মর্মে শাহাজাহান চৌধুরীর ইশারায় এড. হাসান সিদ্দিকী ও মো. শাহাদাত হোসেন একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এসময় আব্দুল্লাহর উপর চাপিয়ে দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরীর তথাকথিত নেতা এড. হাসান সিদ্দিকী ও মো. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে । ইতিপূর্বে ও এ ধরণের একাধিকবার ঘটনা ঘটেছিল। স্বয়ং শাহাদত হোসেন ও হোয়াইক্যং দক্ষিণ শাখা বিএনপির সভাপতি আলী আকবর মেম্বারের বাড়িতে উক্ত ঘটনাগুলো ঘটেছিল। কিন্তু বার বার শাহজাহান চৌধুরীর ইশারায় আব্দুল্লাহর উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে ।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোন কিছু গোপন করা যায় না। টেকনাফে যদি ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কোন ধরণের সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কেন প্রচার করা হয়নি? অথচ কথিত ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী ও কিছু বিএনপি নামধারী আওয়ামী এজেন্টের কুপরামর্শে কক্সবাজার-৪(উখিয়া-টেকনাফ) আসনে সাধারণ মানুষের কাছে অধিক জনপ্রিয়তা থাকায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার শুরু করেছে ।
এই সমস্তের ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাফর চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী ও বিএনপির নেতা হাশেম মেম্বার এই ৩জন, হাশেম মেম্বারের মেয়ের জামাই টেকনাফের আলোচিত আলী উল্লাহ আলো হত্যা মামলার আসামি দিদার, শাহাজাহান ও ইলিয়াছ, তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার নূরুল আমিন চৌধুরী, জামাত নেতা শাহ জালাল চৌধুরী এবং বিএনপির পকেট কমিটির নেতা হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদত এরা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত অভিযোগগুলো সাংবাদিকদের তুলে ধরেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সোলতান আহমদ বিএ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মো. আবদুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর আলম, জেলা বিএনপির সদস্য হাসান আহমদ, হাজী জালাল আহমদ মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরু নবী, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার কামাল আনু, জেলা যুবদল সদস্য ছেবর আলম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়কদ্বয় ছিদ্দিক আহমদ মেম্বার, মো. সেলিম, উপজেলা তাতীদলের আহবায়ক আবদুল আমিন, বিএপি নেতা নুর কামাল, যুবদল নেতা এইচ এম ফারুক শরীফ, নুরুল ইসলাম ইসু, মো. তৈয়ুব, ছাত্রদল নেতা আবদুর রহমান বোখারী, আবদুল্লাহ আল নোমান, খাইরুল বশর, সাইফুল ইসলাম, হাফেজ উল্লাহ, মো. আরিফ, নুরুল কায়সার, মো. সাদেক, মো. ইব্রাহিম, জাহেদ প্রমুখ ।
বিডি প্রতিদিন/এএ