দেশব্যাপি কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমের ইউনিয়ন ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনায় রাজবাড়ীর ১৩৭ টি টিকা কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচিতে সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে কোন সামাজিক দূরত্ব দেখা যায়নি। অনেকের মুখে ছিলো না কোন মাস্ক।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৪২ টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের তিনটি করে কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি বিকেল চারটা পর্যন্ত চলবে। ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিটি কেন্দ্রে তিন’শ টিকা প্রদান করা হবে। রাজবাড়ী পৌরসভায় ৫টি, গোয়ালন্দ পৌরসভায় ৩টি এবং পাংশা পৌরসভায় ৩টি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে।
শনিবার সকালে বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নটাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৮ টার কিছুক্ষণ পর টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী রিয়াজুল ইসলাম বেনু। সুশৃঙ্খলভাবে নারী-পুরুষ দুই লাইনে দাড়িয়ে টিকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
টিকা নিতে আসা আলাউদ্দীন মিয়া বলেন, “ভাবছিলাম বয়স হয়ে গেছে। টিকা নিতে মেলা ঝামেলা। তাই টিকা নেইনি। দুইদিন আগে জানতে পারলাম টিকা নিতে কোন ঝামেলা নাই। শুধু আইডি কার্ড হলেই টিকা দিবে। তাই টিকা নিতে আসছি। টিকা নিয়েছি কোন সমস্যা হয়নি।”
জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ টিকাদান কার্যক্রম তদারকি করছেন। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, আমি সকাল থেকে টিকাদান কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। নলিয়ার টিকাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী সময় মতো আসেনি। আমি বিষয়টি সিভিল সার্জনকে অবগত করেছি। তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে আজকের টিকাদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ টিকা গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
সিভিল সার্জন ডা.ইব্রাহিম টিটন বলেন, একদিনে এক কোটি টিকাদান কার্যক্রম বর্তমান সরকারের একটি সফল পরিকল্পনা। দিনশেষে আশা করছি আমরা একটি সফল কর্মসূচি সমাপ্ত করতে পারবো।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন