রংপুরের মানুষের ইফতারের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পুদিনার চপ, শাহী জিলাপী আর ছানার পোলাও। শুক্রবার নগরীর বেশকয়েকটি ইফতারের দোকান ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
জিএল রায় রোডের পলাশ হোটেলে ক্রেতারা পুদিনার চপ কিনছেন বেশি। প্রতি পিস চপ বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। এছাড়া বিফ কাটিকাবাব ১২০ টাকা, চিকেন তান্দুরি ৮০ টাকা, মটনকাটি কাবাব ১২০ টাকা, শাহী জিলাপি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ছানার পোলাও কিনতে ক্রেতাদের কেজি প্রতি গুণতে হচ্ছে ২০০ টাকা। নগরীর অন্যান্য ইফতারের দোকানগুলোতেও পুদিনাচপসহ আরও বেশ কয়েক প্রকার চপ রোজাদারদের আর্কষণ করছে।
একই সড়কের পাবনা হোটেলে ছানারপোলাও বেশি বিক্রি হচ্ছে। এখানে বেগুনি ও আলুর চপ প্রতিপিছ ৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সবুজ হোটেলেও দেখা যায়, জিলাপি আর চপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া নগরীর কাচারি বাজারের হোটেলগুলোতে শাহী জিলাপী ছাড়া বিভিন্ন প্রকার চপ ও কাবারের চাহিদা রয়েছে।
পলাশ হোটের মালিক সাজু বলেন, ‘করোনা দুই বছর ব্যবসা হয়নি। এবছরও আশানুরূপ ব্যবসা হচ্ছে না। প্রতিটি পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে সেই হারে ইফতারের দাম বাড়েনি। তার পরেও গত বছরের মত ক্রেতা নেই।’ তিনি আরও জানান, তার দোকানের পুদিনার চপ, শাহী জিলাপী ও বিভিন্ন প্রকার কাবাব সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আবু তালেব বলেন, ‘আমার পরিবারে ৩ জন লোক। ইফতারের জন্য আমি প্রতিদিন ৩টি পুদিনার চপ বাড়িতে নিয়ে যাই । কারণ, পুদিনা পাতায় রয়েছে নানা ধরনের ওষুধি গুণ। এছাড়া শাহী জিলাপী আমার খুব প্রিয়।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল