নাটোর-৩ আসনের এমপি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তার স্ত্রী সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আরিফা জেসমিন কনিকার ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করে ব্যানার তৈরির পর তা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সিংড়া পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি জয়তুন বেগম। সিংড়া পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরও তিনি।
একই কাজ করেছেন পৌরসভার উত্তর দমদমা সরদার পাড়ার আজাদের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল হকও।
এদিকে, প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রচারের জন্য ব্যানার পোস্ট করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী জয়তুন বেগমকে।
সোমবার দুপুরে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস তার কাছে নোটিশটি পাঠান।
জানা যায়, রবিবার (২৯ মে) রাত ১০টা ৬ মিনিটে নাজমুল হক তার ফেসবুক আইডি থেকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের ছবি ব্যবহার করে পলককে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চাই লিখে পোস্ট করেন এবং একইদিনে রাত ১০টা ২৭ মিনিটে পলকপত্নী আরিফা জেসমিন কনিকা'র ছবি ব্যবহার করে 'নাটোর-৩ সিংড়া আসনের এমপি হিসেবে দেখতে চাই' পোস্ট করেন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী জয়তুন বেগম। ব্যানারের নিচে লেখা ‘প্রচারে: নাটোর-৩ সিংড়া আসনের জনগণ।’ কয়েক মিনিট পরে দুজনই ফেসবুক পোস্টটি মুছে দেন। এ ঘটনা সিংড়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
বিষয়টি সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নজরে এলে সোমবার দুপুরে জয়তুন বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস দুপুরেই দলীয় প্যাডে জয়তুন বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, এ প্রচারণা ব্যানার প্রকাশ পাওয়ায় সিংড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল হক পরবর্তীতে তার ফেসবুক আইডিতে ক্ষমা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'আমি ভুয়া আইডি থেকে নিয়ে ছবি পোস্ট করেছি, সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।'
নোটিশের বিষয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও পৌর কাউন্সিলর জয়তুন বেগম বলেন, ‘আমি নোটিশের জবাব দেবো, তবে এখন কিছু বলবো না।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত