বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ১ এসআই, ৩ এএসআই ও ১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতদের মধ্য এসআই দাদন(৪৩) এবং এএসআই শহীদুলকে (৪৮) আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্র জানায়, দ্রবের মূল্যে বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী অনুসারে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপির কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশ শেষ পর্যায়ে রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে বিএনপি কর্মীরা। এসময় পুলিশের সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপি কর্মীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পাল্টা বিএনপি কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনা চলে। পুলিশ বিএনপি অফিসসহ শহরে তল্লাশি চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল ফকির, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক,কামরুজ্জামান হিরু, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি কবির তালুকদার সহ ১৩ নেতা-কর্মীকে এ এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিএনপির কর্মীরা অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ৫পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এঘটনায় জড়িত ১৩ জনেকে গ্রেফতার করার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, এব্যাপার মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন,আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ উদ্দেশ্যমূলক ভাবে লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের অনেক কর্মী আহত হয়েছে। এখন মিথ্যা মামলা সাজানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল