কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলের কারণে সবকটি নদ-নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে জেলার ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব এলকার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তবে রৌমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কম থাকলেও ওই উপজেলার পাশে অবস্থিত ভারতের আসাম রাজ্যের কালোর নদী ও ধরনী নদী এবং বাংলাদেশের রৌমারীর ব্রহ্মপুত্র সংলগ্ন জিঞ্জিরাম নদী বেয়ে ধেয়ে আসা লাল পানি সাময়িক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফলে চররাজিবপুর ও রৌমারী এ দুই উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বেশি থাকায় উজানের ঢলের লাল পানি দ্রুত নেমে যেতে পারছে না। অন্যদিকে,ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রসহ তিস্তা নদীর পানি বাড়লেও এখনও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে আপাতত ভয়ারবহতার কিছু নাই বলে জানান তিনি। এদিকে, ধান,পাট এবং শাকসবজিসহ ১১০ হেক্টর জমির ফসল ওই লাল পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও ৩১টি মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও রৌমারীতে কাচা পাকা সড়কের বিভিন্ন জায়গায় লাল পানির তীব্র স্রোতে ছিড়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এখানকার হাজার হাজার মানুষ।
বিডি প্রতিদিন/এএম