দ্রুত গতিতে যমুনার পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে গেছে যমুনার পানি। পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ছে। একই সাথে যমুনার অরক্ষিত শাহজাদপুর, কাজিপুর, চৌহালী ও এনায়েতপুর অঞ্চলে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বন্যা এবং ভাঙন আতঙ্কে শুরু হয়েছে নদীতীরবর্তী মানুষর মধ্যে।
শুক্রবার সকালে শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর কাজিপুর পয়েন্টে কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৯০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৪১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, বড়ালসহ অন্যান্য নদী ও খাল-বিলের পানি বেড়েই চলেছে।
কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের সব ফসলি জমি তলিয়ে নস্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বসতভিটার চারপাশে পানি। যে হারে পানি বাড়ছে তাতে কালকের মধ্যেই বসতভিটায় পানি উঠতে পারে। চরাঞ্চলের মানুষ বন্যা আতঙ্কে ভুগছে।
চৌহালী ও এনায়েতপুরের নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন তীব্র শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক বসতবাড়ী ও মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে হাজারো স্থাপনাসহ বসতভিটা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ২২ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে। বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। স্বাভাবিক প্লাবন হলেও বন্যা হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানান, পানি বাড়ায় কিছু কিছু পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ