কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে একটি অটোমেটিক রাইফেল, একটি পিস্তল ও ৪৯১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় ৮ এপিবিএন পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ৮ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শিহাব কায়সার খান।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্তমান চলমান রাত্রিকালীন ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে পাহারা সিস্টেমকে ধ্বংস করতে চায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা, যারা সংখ্যায় খুবই নগন্য। মাদক কারবারেও তারা আধিপত্য বিস্তার ঘটাতে চেষ্টা করছে। এজন্য গত সপ্তাহে রোহিঙ্গা মাঝি আজিমউদ্দিনকে হত্যা করেছে।
শিহাব কায়সার খান জানান, গত বছরের শেষের দিকে ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত একটি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ৬ জনকে খুন করে সন্ত্রাসীরা। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে খুন করা হয়। এরপর থেকেই ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা ভলান্টিয়ার সিস্টেম চালু করে রাত্রিকালীন পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। সেই থেকে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ হয় এবং মাদক কারবারিও কমতে থাকে।
এপিবিএন পুলিশের বিশেষ এই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পেরে ৮ এপিবিএন পুলিশ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পে অপারেশন চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের অভিযানে একটি আমেরিকার তৈরি অটোমেটিক রাইফেল, একটি আমেরিকার তৈরি পিস্তল ও ৪৯১ রাউন্ড রাইফেলের গুলিসহ দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, ক্যাম্পে এ ধরনের একটি অস্ত্র পাওয়াটা সত্যিই উদ্বেগজনক। তবে অস্ত্রটি আস্তানায় যাওয়ার আগেই ধরা সম্ভব হয়েছে। এটি আমেরিকার তৈরি অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল। অস্ত্রটি কিভাবে এ পর্যন্ত এসেছে, কারা এনেছে, কাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই