পাবনার ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীরকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার মুক্ত মঞ্চের পাশের একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে পাশের দোকানে চা পান করছিলেন আলী আশরাফুল কবীর। সেখানে লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য রুবেল রানা জানান, কবীর ভাই দোকানে চা পান করছিলেন। তখন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম কুদ্দুস তার ছেলে রাতুল ও মনছুরসহ কয়েকজন সেখানে হাজির হন। কেন এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজাকারের অনুষ্ঠানে কেন আসবো? এরপর এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তার দলবল নিয়ে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রযোগে আলী আশরাফুল কবীরকে আঘাত করে। এতে মাথায় জখম হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা ও বনওয়ারি নগর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শাহিনুর রহমানসহ অনেকেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেও জানান উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য রুবেল রানা।
ফরিদপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম কুদ্দুস জানান, অনুষ্ঠানস্থলের পাশে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলাম। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাফপ্যান্ট পরে থাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আমার কলার চেপে ধরেন। তখন আমার ছেলে পেলে তাকে কিল ঘুষি মারলে মাটিতে পড়ে গিয়ে তার মাথা কেটে যায়।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। এজাহার পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
