২ জুলাই, ২০২২ ১৯:১৪

কমছে নদীর পানি দুর্ভোগে বন্যার্তরা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

কমছে নদীর পানি দুর্ভোগে বন্যার্তরা

শনিবার দিনভর বৃষ্টি না হওয়ায় নেত্রকোনার নদীগুলোর পানি কিছুটা কমেছে। ফলে ডুবে থাকা বাড়িগুলো ভসে উঠছে বিভিন্ন এলাকায়। বানভাসিরা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। তবে ঘর থেকে পানি নামলেরও অনেক বাড়ির উঠোন থেকে নামেনি এখনো পানি। যে কারণে পানিবন্দী সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষের অর্ধেক এখনো বন্দীদশা কাটিয়ে উঠতে পারছেনা। 

জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের মাদর গ্রামের অবস্থা এখনো উঠোনে নৌকা চলে। বারান্দা পর্যন্ত পানি নেমেছে। তবে যাদবপুর, রূপচন্দ্রপুর, মাইঝপাড়াসহ কিছু কিছু এলাকায় বাড়ি থেকে পানি নামলেও দুর্ভোগ বাড়ছে। এখনো অনেক টিউবওয়েলের গোড়ালিতে পানি রয়েছে। টয়লেটগুলো পানিতে নিমজ্জিত। তবে নিজ বাড়ি ঘরে ফিরে অনেকের স্বস্তি এসেছে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শিশুদের ভোগান্তি বেড়েছে। জর সহ পাতলা পায়খানা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশিরভাগ। 

এদিকে কলমাকান্দার উদ্বাখালি নদীর পানি কিছুটা কমে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বাইছে। খালিয়াজুরী ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত। তিনি আরও জানান, কংশ নদীর জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার নীচে রয়েছে। তবে উদ্বাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার নীচে চলে গেছে বন্যা পরিস্থিতি সার্বিক উন্নতি হবে।    

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, জেলার ১০ উপজেলার ৭৭টি ইউনিয়নের সাড়ে ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দীর মাঝে এক লাখ ১৫ হাজার মানুষ ২ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছিলো। শনিবার বিকাল পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্র গুলাতে ২০ হাজারেরও কম মানুষ রয়েছে। যাদের বাড়িঘর একেবারে ভেঙ্গে গিয়েছে। সেরকম কিছু মানুষ আছে এখনো। 

জেলা প্রশাসন থেকে বানভাসিদের জন্য এ পর্যন্ত ১ কোটি ৩ লাখ টাকা শুধু নগদ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো ৫০ হাজার গুড়া দুধের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ১০ উপজেলায় গো-খাদ্যের জন্য এক লাখ এবং শিশু খাদ্যের জন্য এক লাখ করে ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর