পবিত্র ঈদ-উল আযহা সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠলে বিক্রি তুলনামূলক কম ছিল। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে কোন কোন হাটে পশুর দাম সহনীয় পর্যায় থাকলেও অনেক হাটে দাম বেশি। এক্ষেত্রে বিক্রেতারা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় দাম একটু বেশি পড়ছে।
অন্যদিকে বড় গরুর চাহিদা কম হলেও মাঝারি জাতের গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে। অন্যদিকে ছাগলের চাহিদাও কম নয়। দিনাজপুর জেলায় চাহিদা পূরণ করেও কোরবানির জন্য অতিরিক্ত ২৯ হাজার পশু রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ২ লাখ ২৯ হাজার ২৪৮টি গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা থাকলেও খামারিদের কাছে রয়েছে ২ লাখ ৫৮হাজার ১৬০টি কোরবানি উপযোগী গরু, মহিষ ও ছাগল জাতীয় পশু। জেলায় ৫৭ হাজার ১৪৬ জন ছোট-বড় খামারি রয়েছেন। উদ্বৃত্ত হিসাবে জেলায় ২৮ হাজার ৯১২টি গরু ছাগল থাকবে। যা অন্য জেলায় সরবরাহ করতে পারবেন।
এদিকে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু বিক্রিতে লাভ নিয়ে আশংকায় রয়েছে খামারিরা। পশু পালনে খরচ বাড়লেও ভালো দামের আশায় অর্থ ও শ্রম দুটোই ব্যায় করছেন। তবে গরুর চেয়ে ছাগল পালন বেশি লাভজনক বলে দাবি করেছেন এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী রাকিব আহমেদসহ অনেকে। দিনাজপুর সদরের এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী রাকিব আহমেদ জানায়, এ বছরের ছাগলের খামারে বিনিয়োগসব উঠে এসেছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ হাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানায়, এবছর রানীগঞ্জ কোরবানীর হাটে বড় আকারের গরুর তুলনায় মাঝারি আকারের অর্থাৎ ৩ মন ওজনের গরুর চাহিদা বেশি। এই সাইজের গরুর দাম ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে। বড় আকারের গরু বা ৪ মণ ওজনের গরুর চাহিদা তুলনা মূলকভাবে কম। ঘোড়াঘাটের কশিগাড়ী গ্রামের মিন্টু তালুকদার বলেন, তিনি রানীগঞ্জ হাট থেকে ১১ কেজি ওজনের একটি খাসি কিনেছেন ৬ হাজার টাকায়।
বিরামপুর উপজেলার গরুর ব্যবসায়ী মিস্টার আলী বলেন, সোমবার রানীগঞ্জ হাটে ৪০-৬০ হাজার টাকা দামের গরু সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল