কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার পশুহাটগুলো। ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর হাটগুলো। তবে দাম নিয়ে উভয়ের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অসন্তোষ। এজন্য গো-খাদ্যের উচ্চমূল্যকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। এদিকে হাটে আসা পশুর সুস্থতা নিয়ে কাজ করছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০টি পশুহাট বসেছে। ইতিমধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে হাটগুলো। এবছর ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এবছর পশুর দাম অনেকটাই বেশি। বিক্রেতারা বলছেন উচ্চমূল্যের গো-খাদ্যে যে খরচ হয়েছে তাতে গরু-ছাগলে লাভের দেখা মিলবে না।
সারাদেশ থেকেই ব্যাপারীরা আসেন চুয়াডাঙ্গার হাটে। তারাও বলছেন, এবছর পশুর দাম বেশি। গাড়ি ভাড়া করে ঢাকা-চট্টগ্রাম নিয়ে পশু বিক্রিতে লাভের মুখ দেখাই কঠিন। তাছাড়া এবছর বড় গরুর চাহিদা অনেক কম। কোরবানির হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রাণী সম্পদ বিভাগ। তারা বলছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই প্রয়োজন মতো সেবা দিতে প্রস্তুত তারা।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ বছর পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৮ হাজারের মতো। এর বিপরীতে পশুপালন হয়েছে দেড় লাখ। যা জেলার চাহিদা মিটিয়েও সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই