কুষ্টিয়া যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জেড এম সম্রাটকে (৩৫ অস্ত্র মাদক ও ওয়াকিটকিসহ আটক করেছে র্যাব-১২ এর একটি দল। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, টেন্ডার জিম্মি, সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি করে আসছিল সম্রাট। তার কার্যালয়ে টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। নিজের মতের বাইরে গেলেই কার্যালয়ে এনে তিনি ও তার সহযোগীরা টর্চার করতেন।
র্যাবের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, টর্চার সেলে নিরীহ লোকজনকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে মোটা অংকের চাঁদা আদায়সহ নানা অপরাধে জড়িত প্রায় অর্ধ ডজন মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি জেড এম সম্রাটের নেতৃত্বে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী শহরজুড়ে জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এমন একাধিক অভিযোগ ও জিডি সূত্রে র্যাবের অভিযানিক দল সম্রাটের মজমপুরস্থ অফিসে অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি ওয়ান শুটার, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরণের মাদকদ্রব্য, ৪টি ওয়াকিটকিসহ বেশকিছু সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
গ্রেফতারকৃত বাকিরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম, পশ্চিম মজমপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুলের ছেলে দীন ইসলাম রাসেল (৩৩) এবং জুগিয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওসমান হাসান (৩১)।
গ্রেফতারকৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক কুষ্টিয়া মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ এর এই কর্মকর্তা।
এদিকে গ্রেফতারকৃত জেড এম সম্রাটের মা কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর সাহানা সুলতানা বনি অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কুষ্টিয়ার রাজনৈতিক নেতারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন। যখনই হেরফের হয় তখনই র্যাব-পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এর আগেও র্যাবকে দিয়ে আমার ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছে ওরা। সঠিক বিচার দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাহানা সুলতানা বনি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল