বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী দুইটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত স্বামী-স্ত্রী দুইজন মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চারজনে।
এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয়ও মিলেছে। তারা হলেন-গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা মশিউর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩০), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি বেগম (৪০) ও বাসচালক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কোব্বাত আলীর ছেলে সুজন মিয়া (৩০)। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিনজনই গার্মেন্টস কর্মী। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় যাচ্ছিলেন তারা।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা ব্রিজ নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে কালিয়াকৈর পরিবহনের একটি যাত্রীবাস ও নওগাঁ ট্রাভেলস নামের আরেকটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই বাসচালক সুজন মিয়া ও যাত্রী ফেন্সি বেগম নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত উভয় বাসের আরও দশজন যাত্রী বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে যাত্রী মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম শুক্রবার রাতে মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই