নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বালুর পোর্ট থেকে সেলিনা খাতুন (৩৭) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের শিমুলতলী এলাকার বালুর পোর্টের শ্রমিক থাকার একটি টিনসেট ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওই নারী উপজেলার পৌরসভার শিবগঞ্জ এলাকার শামসুল হক ওরফে হক মিয়ার স্ত্রী।
তিনি সোমবার বিকালে নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি। গেল দুই দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। তবে নিখোঁজের কোনো জিডি করার খবর পাওয়া যায়নি।
দুর্গাপুর পুলিশ সূত্র জানা গেছে, সোমেশ্বরী থেকে বালু এনে স্টক করে বিক্রি হয় শিমুলতলিতে। এই জায়গাটি থেকে নিয়মিত বালু কেনাবেচা চলে বলে এটি বালুপোর্ট হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এখানের বালু ট্রাকযোগে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
ঈদ উপলক্ষে গেল কয়েক দিন ধরে বন্ধ ছিল শিমুলতলি পোর্ট। মঙ্গলবার ঈদের ছুটি শেষ করে শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসতে শুরু করেন। বুধবার থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে পোর্টে বালু বেচাকেনা।
পোর্টটি রাতে দেখাশোনা করার জন্য পোর্টের একপাশে একটি টিনসেড ঘর নির্মাণ করে দেন মালিকপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যার দিকে টিনসেড ঘরটি নিজেদের থাকার জন্য পরিষ্কার দিতে গেলে ঘরের মেঝেতে নারীর লাশ পরে থাকতে দেখেন শ্রমিকরা। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন পিবিআই সদস্যরা।
নিহতের দ্বিতীয় স্বামী হক মিয়া জানান, সেলিনা সুদি টাকার কারবার করতেন। প্রায় সময়ই পাওনাদারদের বাড়িতে টাকা আনতে যেতেন। সম্প্রতি কত টাকা পাওনা রয়েছে তার একটি লিস্টও বাড়িতে রয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ করছে। যেভাবেই মৃত্যু হয়ে থাকুক সেটি বেরিয়ে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ