মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন মোল্লাকে (৪৪) হেলমেটধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুলপদ্বী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত জাকির হোসেন মোল্লা কুলপদ্বী এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে ব্যক্তিগত কাজ শেষে রিকশাযোগে শহর থেকে নিজ বাড়ি কুলপদ্বী যাচ্ছিল সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির হোসেন মোল্লা। বাড়ির কাছাকাছি আসলে দুটি মোটরসাইকেল করে ৩ থেকে ৫ জন দুর্বৃত্ত তার গতিরোধ করে। পরে রিকশা থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে প্রথমে ফরিদপুর ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিরাজ হোসেন খান বলেন, জাকিরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। জাকিরের সাথে কারই বিরোধিতা নেই। এই ঘটনায় সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ জানান, আহত জাকির হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলার সময় প্রত্যেকে হেলমেট পরা ছিল। বাকি আসামিদের শনাক্ত করার কাজ চলামান রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
