নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও অশ্লীল ছবি ধারণ করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে প্রেমিকসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে দুই আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে
গ্রেফতারকৃতরা হলো তরিকুল ইসলাম বাবু (২১) উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লালখান বাড়ির বর্তমান ঠিকানা বসুরহাট পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের মামুন মাদুলী নিবাসের মো.ইসমাইলের ছেলে। অপর আসামি আবুল খায়ের পুটন (২৩) রামপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ছমদ আলী মিয়াজী বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে।
মঙ্গলবার দুই আসামিকে নোয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, সোমবার রাতে দুই আসামিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ভুক্তভোগীর পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে একটি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে তার প্রেমিক বাবু জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার বিকেলে ৫টার দিকে ওই কিশোরীকে নিয়ে তার প্রেমিক পুনরায় ওই একতলা বিশিষ্ট বাড়িতে গেলে আসামি আবুল খায়ের পুটন ও ইমাম হোসেন রুবেল (২৫) বিষয়টি টের পেয়ে প্রেমিক-প্রেমিকাকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করে। একপর্যায়ে পুটন ও রুবেল মোবাইলের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে ও ব্লাকমেইল করার মানসে প্রেমিক যুগলের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ফোনে ধারণ করে প্রেমিক বাবুর থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
এজাহারে আরও বলা বলো হয়, দাবিকৃত টাকা না দিলে ধারণকৃত বিভিন্ন অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতন করে। এতে প্রেমিক বাবু তার আত্মীয়ের মাধ্যমে আসামি রুবেলের বিকাশে ২০ হাজার টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে গত ১৪ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বাবু ধারণকৃত বিভিন্ন অশ্লীল ছবি তারা ডিলিট করেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুনরায় ঘটনাস্থলে গেলে বখাটে পুটন ও রুবেলকে ঘরের ভিতর দেখে বাবু তার বন্ধু-বান্ধবদের জানালে তার বন্ধু-বান্ধব ঘটনাস্থলে গেলে তাহাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। খবর পেয়ে সোমবার রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রেমিক বাবু ও বখাটে পুটনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। কোম্পানীগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আক্তার হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা সোমবার নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রেমিক বাবুসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ
