কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে চাচাতো শ্যালিকা খুশিকে (৯) হত্যার দায়ে দুলাভাই আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুল গণি উপজেলার আশকর নগর গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে। নিহত শ্যালিকা হাফছা আক্তার খুশি একই গ্রামের বাবু মিয়ার কন্যা এবং সে তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়ণরত ছিল। হত্যাকান্ডের ঘটনা গত রবিবার সন্ধ্যায় ঘটে বলে জানা গেছে।
মামলার সুত্রে জানা যায়, আব্দুল গনির সাথে গত ৪ তারিখে খুশির চাচাতো বোন আংগুয়ারা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায় আব্দুল গনি।শ্বশুর বাড়িতে রাতে ঘুমানোর জায়গা না থাকায় খুশি যে বাড়িতে থাকে সে বাড়িতে নব বিবাহিত বউ নিয়ে থাকতে যায় গনি। এসময় স্বামী স্ত্রীর গোপন অভিসার দেখে ফেলে শ্যালিকা খুশি। এতে ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে গনি। এরই ধারাবাহিকতায় সে গত রবিবার বিকেলে খুশিকে একা পেয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মারতে থাকলে এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ হয়ে সে মারা যায়। পরে বিষয়টি ভিন্নখাতে দেয়ার উদ্দেশ্যে খুশির মরদেহ তার বাড়ির ঘরের ধর্ণার সাথে ঝুলিয়ে রাখে গনি।এদিকে,খুশির বাবা ঢাকায় প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করতেন বলে জানা যায়। পারিবারিক কলহের জেরে তিনমাস আগে খুশির মা বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর থেকে আশকর নগর গ্রামের ফুপুর বাড়িতে তিন বোনসহ থাকতো খুশি। এরই মধ্যে গণি এরুপ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবিউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলোন, সোমবার দুপুরে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। সেইসাথে অভিযুক্ত আব্দুল গনিকে আদালতের মাধ্যমে বিকেলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম