পতাকা বৈঠকের পর দিনাজপুর সদরের সীমান্তের ওপারে গুলিতে নিহত মিনহাজুল ইসলাম মিনাজের মরদেহ চারদিন পর ফেরত দিলেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ)। পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় মিনহাজের মরদেহ। সোমবার বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুরের সীমান্তের ৩১৪/৭ এস পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।
পতাকা বৈঠকে দাইনুর বিওপির নায়েক সুবেদার আক্তার হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার আনিস হোসেন, কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম, আস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুবক্কর সিদ্দিক, ইউপি সদস্য মাজেদুর রহমান ও নিহতের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের ভাদড়া হরিপুর সীমান্ত ফাঁড়ির বিএসএফ কর্মকর্তা ঈসা, গঙ্গারামপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পল্লব কুমারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহ ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করে আস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুবক্কর সিদ্দিক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাজেদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সকালে মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে সংবাদ পেয়ে কবর খনন করা হয়। বিকেলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গোসল শেষে বাদ মাগরিব জানাজা হয়। পরে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে দিনাজপুর সদরের দাইনুর সীমান্তের ওপারে মিনহাজুল ইসলাম নিহত হয়। অভিযোগ ওঠে, বিএসএফ তাকে গুলিতে সে মারা যায়। মিনহাজুল ইসলাম সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের ভিতরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল