ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকা দমনে দিনাজপুরে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ভালো ফসল পেতে আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি কীটনাশকমুক্ত চাষাবাদে ফসলের জমিতে আলোক ফাদঁ বসানো হয়েছে।
কৃষি বিভাগের পরামর্শে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় এ আলোক ফাদঁ বসানো হচ্ছে। কৃষকদের রোপনকৃত আমন ক্ষেতে পোকা ও রোগ-বালাই আক্রমণ করতে না পারে এবং কি ধরনের পোকা রয়েছে তা নির্ণয় করে ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগ কাজ শুরু করেছে। এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমছে, আর ফসল থাকছে অনেকটা বিষমুক্ত।
ধানক্ষেতে আলোক ফাদঁ স্থাপন করে পোকা দমনের পাশাপাশি পোকা আক্রমণ হলে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে ব্যাপারে প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছে ওই বিভাগের কর্মকর্তারা। চাষাবাদে আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি ভাল ফসল হওয়ায় কৃষককে লাভবান করবে এ ‘আলোক ফাঁদ’। তাই এ ‘আলোক ফাঁদ’ পদ্ধতি কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমন ধানসহ ফসল চাষে স্বল্প খরচে পরিবেশ বান্ধব ‘আলোক ফাঁদ’ ব্যবহারে ব্যাপক সফলতা এনে দিবে কৃষকের।
বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থাপন ও তার ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে।
প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষি ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত এবং নিধনের লক্ষ্যে ঘোড়াঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৩টি ব্লকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়ে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থাপন ও ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বুদ্ধকরণ করছেন। পরে তা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন প্রতিদিনই কোন না কোন মাঠে কৃষকরা নিজেরাই আলোক ফাঁদ স্থাপন শুরু করেছেন।
খোদাদাতপুর গ্রামে কৃষক বদরুল আলম, আলিম হোসেন, রবি উড়াও, সুমন জানান, আলোক ফাঁদের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা নিধনে পদ্ধতিটা খুবই উপকারি।শুধু ফসল নয়, বাড়ীতে বিরক্তিকরণ পোকা নিধনে আলোক ফাঁদ ব্যবহারে উপকার আসে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, আলোক ফাঁদ হচ্ছে ফসলের ক্ষতিকর ও উপকারি পোকা মাকড় সনাক্ত করার পদ্ধতি। যা সনাক্ত করার পর কোন ফসলে কী জাতের পোকা আক্রমণ করল, সেই অনুযায়ী কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ কৃষকদের দেয়া হচ্ছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এখলাস হোসেন সরকার জানান, আলোক ফাঁদ ফসলের ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে খুব ভাল একটি পদ্ধতি। তাই কৃষকদের আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম