ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার কুরনী নামক স্থানে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ড্রাম ট্রাকের সংঘর্ষে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় পিকআপ চালক ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে স্থানীয় কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানান, মহাসড়কের কুরনী নামক স্থানে বিকল হওয়া বালু ভর্তি একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় দ্রুতগতির একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির বাম পাশ দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। বাসের পেছনে থাকা ড্রাম ট্রাকটি হঠাৎ ব্রেক করলে তার পেছনে থাকা মুরগি ভর্তি পিকআপ ধাক্কা মারে। এতে পিকআপটিও ধুমড়ে মুচড়ে যায়। পিকআপে থাকা চালকসহ পাঁচজন আহত হয়। এতে ঢাকার দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মির্জাপুর অফিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোয়া ছয়টার দিকে পুলিশ রেকার দিয়ে বাস, পিকআপ ও বালু ভর্তি ট্রাক সরিয়ে নিলে সাড়ে ছয়টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শুভ আহমেদ জানান, সকালে বাড়ির সামনে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে মহাসড়কে এসে দুর্ঘটনাটি দেখেন এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
গোড়াই হাইওয়ে থানার (ওসি) মোল্লা টুটুল জানান, নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম