টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষ না থাকায় সহকারী শিক্ষকই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে জটিলতায় ভুগছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মামলা জটিলতার কারণে সাতটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলার বেতুয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি ক্লাসে ১৪৩ জন শিক্ষার্থী। এক বছর আগে এই বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষ অবসরে গেছেন। একজন শিক্ষক টাঙ্গাইল ‘পিটিআই’এ ১৮ মাসের একটি প্রশিক্ষনে আছেন। সিনিয়র ম্যাডাম নাসিমা অক্তার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে অফিসিয়াল কাজকর্ম করছেন। তাকে মাঝে মধ্যেই উপজেলা শিক্ষা অফিসে আসতে হয়। এসময় ছয়টি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান মিটাতে হয় মাত্র দুইজন শিক্ষকের। প্রধান শিক্ষক না থাকায় এভাবে নানা জটিলতায় ভুগছে উপজেলার আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নাসিমা আক্তার বলেন, ক্লাস ও অফিসিয়াল কাজ এক সাথে করা যায় না। যে কারণে আমরা একটা জটিলতার মধ্যে আছি। এছাড়া অসুস্থ ছাড়া পারিবারিক কোনো কাজে আমি ও অন্য দুই শিক্ষক ঐচ্ছিক ছুটিও নিতে পারি না।
এদিকে উপজেলার পাটজাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের মিয়া জানান, ২০১০ সাল যখন এই স্কুলটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে রেজিস্টি হয়, তখন থেকেই আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। দুঃখের বিষয় আমিসহ সখীপুরের আরও সাতজন শিক্ষক এখনো প্রধান শিক্ষক হতে পারিনি। প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমাদের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।
উপজেল প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিউল করিম বলেন, সরাসরি সরকারি ভাবে আর প্রমোশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে। প্রধান শিক্ষক হওয়া নিয়ে এই উপজেলার সাতটি স্কুলে মামলা চলছে, এই মামলা শেষ হলে এবং সরকারি ভাবে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ হলেই প্রধান শিক্ষকের কোন স্বল্পতা থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল