‘আমার দুইডা মেইয়ে। বিয়ে দ্যাবার পর একরাত বাড়ি আইসে আমার সাতে থাকতি পারে না। এই ভাত খেইয়ে ঐ অমুক বাড়ি তমুকের বাড়ি থাকতি হইছে। আইজ শেখ হাসিনার বদৌলতে আমার বাজান আমারে ঘর কইরে দিছে।আমি আমার মেইয়ে দুইডা নিয়ে থাকতি পারব’। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলছিলেন জীবন যুদ্ধে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া চম্পা বেগম।
স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। নেই কোনো পুত্র সন্তান। দুই বছর আগে দুই মেয়ের মধ্যে এক মেয়ের আবার সংসার ভেঙেছে যৌতুকের কারণে। তিনিও থাকেন মায়ের সাথে।
পিতা মারা যাওয়ার সময় যে কয়েক শতক জমি রেখে যান, তা হয়েছে কয়েক ভাগ। চম্পার কপালে দুই শতাংশও জুটেনি। তারই মাঝে ছন, অন্যের বাড়ি থেকে কুড়িয়ে আনা টিন এবং পাটকাঠি দিয়ে তার ঝুপড়ি ঘর। ঝরে ভেঙেছে কয়েকবার।
এবার প্রধানমন্ত্রীর ৭৬ তম জন্মদিনে ভাগ্য ফিরেছে চম্পার। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে তার জন্য একটি নতুন টিনের ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের সমাজসেবা সেল। আনন্দে আত্মহারা চম্পা। ধন্যবাদ জানিয়েছেন ছাত্রলীগকে, প্রাণ ভরে দোয়া করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ুর জন্য।
চম্পার ছোট মেয়ে হালিমা বলেন, আমার দুর্ঘটনার পর আমি আমার মায়ের কাছে ফিরে আসি। এরপর নতুন করে আমাকে কলেজে ভর্তি করে দেন ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শাহেদ ভাই। কলেজের অন্যান্য ফিও তারাই দিচ্ছেন। একেবারে ছোটবেলা থেকে আমাদের থাকার মত কোনো ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তারা আমাদের এই সুন্দর ঘরটি করে দিয়েছেন। আমরা এখন খুব খুশি। আমরা ছাত্রলীগকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে একজন ছাত্রনেতার পক্ষে একটা ঘর নির্মাণ সহজ কাজ নয়। গত ৬/৭ মাস ধরে আমি চেষ্টা করছি কোনো মাসে একটি খুঁটি, কোনো মাসে দুটি টিন, কোনো মাসে মিস্ত্রির খরচ জুগিয়ে কাজটা সম্পন্ন করতে। শেষের দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং ‘সাজিদ-সোবহান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’ নামের সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সংগঠন এ কাজে সহায়তা করে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে একটি ভালো কাজ করতে পেরে ভীষণ তৃপ্ত।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল