কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বনগ্রামে কৃষক রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আপন পাঁচ ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রামের মৃত রহমত আলী শেখের ছেলে উজ্জল শেখ(৫১), সেজ্জাত প্রকাশ সুজাত শেখ (৪১), সুজন শেখ (৩৯), আব্দুল গফুর শেখ (৬১) এবং জালাল উদ্দিন শেখ (৫৪)।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার ৭ আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির দধ্যে আব্দুল গফুর ও জালাল উদ্দিনসহ মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি ৩ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারী কৌশুলী (পিপি) অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা মাঝগ্রামের কৃষক আফিল উদ্দিন এবং তার ছোট ভাই জামাল উদ্দিন যৌথভাবে মাঠে সেচ দেওয়ার জন্য একটি যন্ত্রচালিত সেচযন্ত্র পরিচলনা করতেন। জমিতে সেচ দেওয়াসহ জায়গা-জমি নিয়ে তাদের সাথে আসামীদের পূর্ব বিরোধ ছিলো। পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৭ সালের ১১ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেচযন্ত্র চালু করার জন্য মাঠে যাওয়ার পথে আসামিরা জামাল উদ্দিন এবং তার ভাগনে রেজাউলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপালে ঘটনাস্থলেই রেজাউল নিহত হন। জামাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরের দিন নিহতের মামা আফিল উদ্দিন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে দীর্ঘ শুনানি শেষে ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল