সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে এনজিওকর্মীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আপরদিকে ছাতকে আরো একটি ধর্ষণ মামলায় অপর এক যুবককেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুরে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। এ সময় দিরাইয়ে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় বাসচালককে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৩১ আগস্ট বিশ্বম্ভরপুরের এক এনজিওকর্মীকে মোটরসাইকেলে তোলে তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় সীমান্তের শাহ আরেফিনের মাজার এলাকায় নিয়ে যায় আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক। পরে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে সেই দৃশ্যটি স্থানীয় কয়েকজন দেখে ফেলে। তারা আনোয়ার হোসেনকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারন করে। পরে ধারন করা ভিডিও পরে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়।
ভিকটিমের দায়ের করার মামলায় আসামি আনোয়ার হোসেন খোকন, শফি উল্লাহ, ছাইদুর রহমান ও শফিকুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করেন আদালত। এ সময় প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, যা ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন।
এদিকে, ছাতক উপজেলার মোহনপুর গ্রামে ২০১২ সালের ১৭ মার্চ এক তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করার মামলার আসামি ইকবাল হোসেনকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন। ওই মামলায় আসামি ইকবাল হোসেন ও জয়নাল আবেদীনকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়।
অপরদিকে, ২০১০ সালের ২৬ ডিসেম্বর দিরাইয়ে চলন্ত বাসে তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামী বাসচালক শহিদ মিয়াকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যে টাকা ভিকটিম ক্ষতিপূরণ হিসাবে পাবেন।
সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন, আদালতের এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম