অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সাফল্য অর্জন করেছে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ। বিদেশি পিস্তল, রিভলবার, দেশীয় তৈরি শুটারগান সহ বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র উদ্ধারের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। বর্তমান পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানের যোগদানের পরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে ‘গ’ গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। গত বছর থেকে এ বছর অস্ত্র উদ্ধারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খানখানপুরের আরিফুল ইসলাম রকি(২৫) হত্যার তথ্য জানতে গেলে পুলিশ সুপার বলেন, আরিফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল সহ দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত এই হত্যা মামলার পুলিশ প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে। আধিপত্য বিস্তারের কারণেই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানান পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, গত বছর রাজবাড়ীতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে ‘গ’ গ্রুপে রাজবাড়ী তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের কঠোর অবস্থান রয়েছে। আমাদের জেলা পুলিশের সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন।
জেলা পুলিশের তথ্য মতে, বছরের শুরু থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত জেলা পুলিশের অভিযানে ২৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রগুলোর মধ্যে ৯টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশি বন্দুক, ১টি দেশি রিভলবার, ২টি বিদেশি রিভলবার, ৩টি পাইপগান ও ৬টি শুটারগান রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি, কার্তুজ, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি ও রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। বছরের শুরু থেকে ১৬টি অস্ত্র মামলায় ২৯ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, পৌরসভার কাউন্সিলর, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও স্কুল শিক্ষার্থী রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাবনা, কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ী এক সময় চরমপন্থী অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত ছিল। সেখান থেকে মূলতো এই অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয় হয়। এছাড়া পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনে প্রভাব বিস্তারের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়। এসব অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ তৎপর থাকায় সাফল্য পেয়েছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব প্রদান করছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার। গত কয়েকমাস ধরে রাজবাড়ী সদর ও পাংশা থেকে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন ও রাজবাড়ীর খানখানাপুর ইউনিয়ন থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারে স্বস্তির পাশাপাশি শঙ্কা বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে বলেন, আমরা দায়িত্বের বাইরে কোন কাজ করছি না। রাজবাড়ীর মানুষকে শান্তিতে রাখতে দায়িত্বের প্রতি অবিচল থেকে কাজ করাই হয়তো আজকের সাফল্য।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন