আগামীকাল শনিবার রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে সাজ সাজ রব। নেতাকর্মীরা দিন রাত কাজ করে সম্মেলন সফল করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আয়োজক দলটির প্রত্যাশা, এক লাখ মানুষ সম্মেলনে উপস্থিত হবেন। সম্মেলনকে ঘিরে জিলা স্কুল মাঠে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। ফেস্টুন ব্যানারে ছেয়ে গেছে নগরী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের পর থেকে কোন জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এরমধ্যে ২০১৩ সালে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলেও সেই কমিটি একটি সম্মেলন কিংবা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। এরমধ্যে জেলা যুবলীগের আহবায়ক রাশেদুজ্জামান জুয়েল ২০১৮ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই যুগ্ম আহবায়করাই বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল নির্বাচিত হয়ে রংপুর জেলা যুবলীগ কমিটি সচল করার উদ্যোগ নেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি বলেন, আমরা জিলা স্কুল মাঠে জেলা যুবলীগের সম্মেলনের আয়োজন করছি, আশা করছি এই সম্মেলনে লক্ষাধিক তরুণ-যুবক উপস্থিত থাকবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দল বিভাগীয় সমাবেশ করেছে ছোট্ট একটি জায়গায়, অথচ সেই স্থানের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ২০ গুণ উপস্থিতির প্রচারণা চালাচ্ছে, যা অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না।
তিনি বলেন, রংপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, রংপুর সজিব ওয়াজেদ জয়ের ঘাঁটি। এই রংপুরের মাটি আওয়ামী লীগের। তাই রংপুর থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে যুবক শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য আমাদের আরো বেশি সু সংগঠিত হবে। যুবলীগের সম্মেলন সফল করতে হবে।
সভাপতি ও সম্পাদক পদে ৪১ জন প্রতাশী রয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন জমা দিয়েছেন।
সাবেক ছাত্র নেতা সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী মেহেদী হাসান রনি বলেন, আমা চাই যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে তারাই কমিটিতে আসুক।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল