নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে জমজ শিশু জন্মের পর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে। সকালে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার গ্রীন লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড টমাস সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে হাসপাতালের ডাঃ উম্মে হাবীবা রিপোর্টে ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে বলেন, আল্টাসনোগ্রাফির রিপোর্টে ডাবল আসার কারণে আমি ২টা বাচ্চার কথা তাদেরকে বলেছি। মূলত আল্টাসনোগ্রাফির মেশিনে সমস্যা থাকায় রিপোর্টে ভুল এসেছে, মূলত বাচ্চা ১টি।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বিপুলাসার গ্রামের গৃহবধূ তানিয়া আক্তার (২২) কে প্রসব বেদনা নিয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলার গ্রীন লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড টমাস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ওই গৃহবধূকে গর্ভবতী হওয়ার পর সাত মাসের সময় আল্টাসনোগ্রাফি করা হয়। এতে তার গর্ভে দুটি শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ৮ মাসের সময় পুনরায় আল্টাসনোগ্রাফি করালে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে শিশুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু'জন নবজাতকের জন্য দুই ব্যাগ রক্ত আনতে প্রসূতির স্বামীকে বাহিরে পাঠান। তিনি বাহির থেকে দুজন নবজাতকের জন্য রক্ত ও জামা কাপড় নিয়ে এসে দেখেন তাদের শুধু মেয়ে নবজাতক দেওয়া হয়েছে। প্রসূতির স্বামী সামছুল আলমের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটার থেকে জমজ ছেলে শিশুটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আমার বাচ্চা ফিরত চাই। এ ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।
গ্রীন লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড টমাস সেন্টারে কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্মে হাবীবা, নবজাতক চুরির অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আল্টাসনোগ্রাফির রিপোর্টে ডাবল আসার কারণে আমি ২টা বাচ্চার কথা তাদেরকে বলেছি। মূলত আল্টাসনোগ্রাফির মেশিনে সমস্যা থাকায় রিপোর্টে ভুল এসেছে, মূলত বাচ্চা ১টি।আল্টাসনোগ্রাফির রিপোর্ট ভুল হওয়ায় এ ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, আল্টাসনোগ্রাফির রিপোর্ট নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। ওদের মেশিন খারাপ ছিল এজন্য রিপোর্ট ভুল হয়েছে। এ বিষয়ে ডাক্তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান। তবুও বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখেছে। আসলে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম