দেশের বৃহত্তর ধান-চালের মোকাম নওগাঁয় মোটা চালের দাম কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩-৪ টাকা। তবে সরু চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন ধান বাজারে আসতে এখনও ১৫-২০ দিন বাকি। বাজারে মোটা ধানের দাম বেড়ে যাওয়া ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে বলছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে দাম বাড়ায় বিপাকে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
দেশের বৃহত্তর ধান-চাল উৎপাদনের অন্যতম জেলা নওগাঁ। সারাদেশের চালের চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয় এ জেলা থেকে। নওগাঁর পাইকারি বাজারে মোটা জাতের চাল কেজি প্রতি ১ থেকে দেড় টাকা আর খুচরা বাজারে ৩-৪ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরু চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রকারভেদে প্রতিটি মোটা জাতের চালের দাম বেড়েছে। নওগাঁর খুচরা বাজারে মোটা স্বর্ণা-৫ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা, আগে ছিল ৫০-৫১ টাকা, পারিজা চাল ৫০-৫১ টাকা, আগে ছিল ৪৭-৪৮ টাকা, ২৮-এর চাল ৫৬-৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আগে ছিল ৫৩-৫৪ টাকা। যেহেতু মোটা ধানের দাম বেড়েছে তাই মোটা চালের দামও বেড়েছে কেজিতে ৩-৪ টাকা।
এদিকে ক্রেতারা জানায়, নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চাল। সরু চালের দাম আগের মতো থাকলেও বেড়েছে মোটা চালের দাম। চাল কিনতে এসে সব টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই অন্য পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁ পৌর খুচরা চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, বর্তমানে বাজারে মোটা জাতের ধান ও চালের আমদানি হচ্ছে স্বল্প পরিসরে। স্বর্ণা, পারিজা, ২৮ ও ২৯ জাতের মোটা ধানের সময় শেষ হওয়ায় বাজারে চাল নাই। কয়েকদিনের মধ্যে নতুন ধান বাজারে আসলে চালের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, আগের মৌসুমের মোটা জাতের ধান ও চাল প্রায় শেষের দিকে। আর চলতি আমন মৌসুমের ধান বাজারে আসতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। পাশাপাশি মোটা জাতের চালের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারি বাজারে এক থেকে দেড় টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, সরকার বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করলে চালের দাম স্থিতিশীল থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা নওগাঁর নিম্ন আয়সহ সকল শ্রেণির মানুষের।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা