আগামী ১৩ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। কে হচ্ছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে সর্বত্র নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে এবং চলছে আলাপ আলোচনা। কেউ কেউ বলেছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদেই পরিবর্তন হবে। আবার কেউ বলছেন সভাপতি থাকছেন সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন হচ্ছে। তবে দলের দায়িত্বশীল কেউ সঠিক করে বলতে পারেনি।
জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুটি পদের জন্য প্রতিন্দ্বিতায় রয়েছেন নবীন-প্রবীণসহ অনেক নতুন মুখ। সভাপতি পদের জন্য একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও তাদের মধ্যে বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপি, বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, তৈয়ব আলী জোর্য়াদ্দার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, সদর পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল খালেকের নাম শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদর পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্কাস আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম ফোটনের নাম শোনা যাচ্ছে।
তবে ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হচ্ছে বলে জোর গুঞ্জন চলছে। সদ্য সমাপ্ত ঝিনাইদহ সদর পৌরসভা ও জেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটের খেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাফল্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে ভাবিয়ে তুলেছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভাবনীয় জয় ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিয়েছে বলে মনে করেছেন মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। অপরদিকে পৌর ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে দলীয় প্রার্থীর হার দলের গ্রুপিং ও সংকটকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলে ত্যাগী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাংগঠনিক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে সংসদ নির্বাচনের আগে সম্মেলনে যোগ্যতা অনুযায়ী দলীয় পদ পুনর্বণ্টন করলে দলের সাফল্য বয়ে আসতে পারে বলে মনে করেছেন তারা।
দলের একটি নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানায়, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দুটি নির্ধারণ করে থাকেন খোদ দলীয় সভানেত্রী। তিনি যাচাই বাছাই করে দলের নেতাকর্মীদের যাদের পারফমেন্স ভালো তাদেরকে দুই শীর্ষ পদে নিয়োগ দিবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসে সম্মেলন শুধু আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করবেন।
এছাড়া আগামী কাউন্সিলকে ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জেলা জুড়ে আওয়ামী লীগের সক্রিয়তা বাড়লেও পিছিয়ে পড়েছে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় ঝিমিয়ে পরার অভিযোগ রয়েছে জেলা যুবলীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জেলা যুব মহিলালীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা তাঁতীলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনগুলো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল